নিজস্ব প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেছেন  এবি এম মেহেদী মাসুদ । গত (৮ ডিসেম্বর২০২৩) যোগদানের পর থেকেই মণিরামপুর থানার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নতির পথে। ওসি হিসাবে তিনি যোগদান করে তাঁর টিমকে সাথে নিয়ে মণিরামপুর থানা কে মডেল থানা করার জন্য মাদকমুক্ত ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছেন। থানাকে দালাল মুক্ত করতে তার সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় থানার যাবতীয় কার্যক্রম ফলোআপে এনেছেন।
একটি নির্ভরযাগ্য সূত্রে জানা যায়, তিনি যোগদানের পর থেকে অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে। যারা ইয়াবা ব্যবসা করে অনেক যুবকের জীবন নষ্ট করেছেন। বর্তমানে তারা চরম আতঙ্কে রয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মণিরামপুর থানার বাসিন্দা জহির রায়হান নামে এক ভদ্র লোক বলেন, যে কোন সমস্যার অভিযোগপত্র দাখিল করলে তিনি সাথে সাথে তা আমলে নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন। ওসির আন্তরিকতা ও সেবার মন মানসিকতার প্রশংসা করে থানার সকলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। অনেক সচেতন মহল মনে করেন, মণিরামপুর থানার বর্তমান ওসির কার্যক্রম গুলো মণিরামপুর উপজেলায় নিদর্শন। মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। মণিরামপুর থানায় তিনি কাজকে কাজের মত দেখে তার কর্মকান্ডগুলো বাস্তবায়ন করবেন । সুন্দর, বাসযোগ্য থানা গড়তে সচেতন মহল মণিরামপুর থানার ওসির কাছে প্রত্যাশা করেছেন।
থানায় কর্মরত এক অফিসার জানান, স্যার সৃজনশীল মানুষ, যোগদানের পর থেকে তিনি ঠিকভাবে একরাতও ঘুমাননি। রাতদিন তিনি থানার শান্তি শৃঙ্খলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। অভিযান পরিচালনাসহ ঝুলন্ত মামলা গুলোর ফাইনাল রিপোর্ট এবং চার্জশীট প্রদানে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাতকারে থানার অফিসার ইনচার্জ এবি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, দেশ সেবার মন-মানসিকতা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছি, সে থেকে এ পর্যন্ত সততার বাস্তবায়নে কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। যশোর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মণিরামপুর থানাকে মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে আমাদের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি ও মণিরামপুর থানাকে মডেল মণিরামপুরে রুপান্তরের প্রচেষ্টা করছি।
সামগ্রিক কার্যক্রমগুলো সফলভাবে সম্পাদন করার জন্য তিনি সচেতন মহল , জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সকলের প্রতি মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং তথ্যদাতাদের নিরাপত্তার স্বার্থে নামসমূহ গোপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি। নির্বাচনকালীন হঠাৎই মণিরামপুর থানায় এসে তাঁর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সত্যিই তাক লাগানোর মতো। মডেল মণিরামপুরের চেতনায় তাঁর বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো জনমনে আস্থার সৃষ্টি  করেছে। ইতিমধ্যে কাঁচা বাজার গলিতে দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ যানজট নিরসনে  ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।